মিতু হত্যায় মামলার সব ডকুমেন্ট থাকবে জুডিশিয়াল হেফাজতে
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা যাবতীয় কাগজপত্র এখন থেকে জুড়িশিয়াল হেফাজতে থাকবে। যাদের প্রয়োজন হবে আদালতে আবেদন করে তার নকল নিতে পারবে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।
তিনি বলেন, মিতু হত্যার পর তার স্বামী বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার যাবতীয় কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ চেয়ে আমরা আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে ১৬১ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনসহ যাবতীয় কাগজপত্র জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাবুল আক্তারকে আসামি করে যে মামলা করা হয়েছে তার সহি মুহুরি নকল জিআরও শাখায় চেয়েও আমরা পাইনি। সহি মুহুরি নকল আমাদের সরবরাহ করার আবেদন করলে মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালত আমাদের সেই মামলার সহি মুহুরি নকল প্রদানের আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে মাহমুদা খানম মিতু তার ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় জিইসি মোড়ে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মিতু হত্যার পর তার স্বামী পিবিআইতে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গত ১২ মে সেই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
একইদিন বুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মিতুর পিতা মোশারফ হোসেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই তদন্তভার নেয় পিবিআই। পিবিআই ১২ মে বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৭ মে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য। কিন্তু বাবুল আক্তার আদালতে জবানবন্দি না দেওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে প্রথমে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন বাবুল আক্তার। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ২৯ মে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করে।
মিতুর পিতা মোশারফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় বাবুলের সাত সহযোগী হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খায়রুল ইসলাম কালু, সাইফুল ইসলাম শিকদার ও শাহজাহান মিয়া।
আসামিদের মধ্যে কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালুর কোনো হদিশ পায়নি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এহতেশামুল হক ভোলা জামিনে গিয়ে পলাতক আছেন। সম্প্রতি সন্তোষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
গত ১০ চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং ১৮ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত দুটো আবেদনই নামঞ্জুর করেন।